October 16, 2024

পরিচিতি

আমাদের গর্ব আমরা নোয়াখালীর সন্তান । সৃষ্টির শুরু থেকে মানুষ ভাগ্যের সন্ধানে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাড়ি জমিয়েছে আমরাও তার ব্যাতিক্রম নই । আমরা আমাদের ভাগ্যের সন্ধানে আজ বাহরাইন প্রবাসী। বাহরাইনে বৃহত্তর নোয়াখালী প্রবাসীদেরকে নিয়ে ১৫ ই মে ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় বৃহত্তর নোয়াখালী পরিষদ-বাহরাইন। এটি একটি অরাজনৈতিক, জনকল্যানমূলক সামাজিক সংগঠন। যার জন্ম হয়েছে প্রবাসে অসহায়, বিপদগ্রস্থ, সুবিধা বঞ্চিত রেমিটেন্স যোদ্ধার পাশে থেকে মানবিক, মানুষিক, সামাজিক, নৈতিক সহযোগীতা প্রদান করার জন্য।

লক্ষ্য ও উদ্যেশ্য:

১। বাহরাইন প্রবাসী বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার সকল শ্রেনীর পেশাজীবির ঐক্যবদ্ধ, ভাতৃত্ব সূলভ সম্পর্ক স্থাপন।
২। আত্মমানবতার সেবা করা।
৩। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি তুলে ধরা
৪। মানবিক সহযোগীতা প্রদানে অগ্রনী ভূমিকা পালন করা।

৫। পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষনের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি ও জীবন যাপনের মান উন্নয়ন।
৬। সামাজিক কার্য্যক্রম পরিচালনা ও সভার মাধ্যমে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার মানুষকে দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে ভাবমূর্ত্তি উন্নয়ন।
৭। পারশ্বপারিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য বার্ষিক আনন্দ ভ্রমন, ছাত্র/ছাত্রীদের শিক্ষা সফর, গুনীজন স্বরণসভা ও সংবর্ধনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগীতার আয়োজন করা।
৮। বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার সকল ব্যক্তিবৃন্দকে মানবতার সেবায় উদ্বুদ্ধ করা।

সদস্য হওয়ার যোগ্যতা :

বাহরাইনে অবস্থানরত জন্মসূত্রে/পৈতৃকসূত্রে/মাতৃকসূত্রে নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর জেলার বাংলাদেশী নাগরিক নিম্নবর্ণিত শর্তে এ সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন।

ক)           নূন্যতম ১৮ (আঠার) বছর বয়স ।

খ)           উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হতে হবে (আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত নহে)।

গ)           সুস্থ্য মস্তিষ্কের অধিকারী হতে হবে (পাগল ও উম্মাদ নহে)।

ঘ)           সংগঠনের আদর্শ ও উদ্দেশ্য এবং গঠনতন্ত্রের প্রতি অনুগত হতে হবে।

ঙ)           নির্ধারিত মাসিক চাঁদা ও ভর্তি ফি পরিশোধ করতে হবে।

চ)            সংগঠনের অর্পিত দায়িত্ব সক্রিয়ভাবে পালন করতে হবে।

ছ)           সমাজকল্যাণ ও মানব সেবায় নিবেদিত হতে হবে।

ঝ)           সংগঠনের নির্ধারিত সদস্য ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।

ঞ)         কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক আবেদন গৃহীত হতে হবে।

সদস্যপদ বাতিল

ক)          কোন সদস্যের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র কিংবা সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কোন কাজ প্রমাণিত হলে তার সদস্যপদ বাতিল হবে।

খ)           সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী ও আর্থিক ক্ষতির সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সদস্যপদ বাতিল হতে পারে।

গ)           সকল ক্ষেত্রেই কার্যনির্বাহী পরিষদের সর্বসম্মতি/ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

ঘ)           কোন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে এবং তা কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হলে।

ঙ)           মৃত্যু হলে বা আদালতে নৈতিক অপরাধে অভিযুক্ত হলে।

চ)            কোন সদস্য প্রতিষ্ঠানের মাসিক চাঁদা একাধিকক্রমে ৬ মাস প্রদান না করলে।

ছ)           কোন সদস্য উক্ত প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করলে ও বেতন গ্রহণ করলে।

ঝ)           গ্রহণযোগ্য কারন ছাড়া পর পর ৩টি কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় উপস্থিত না থাকলে।

ঞ)          প্রতিষ্ঠানের কাজে পর পর ৬ (ছয়) মাস নিষ্ক্রিয় ও অকর্মন্য হয়ে পড়লে।

ট)            সদস্যের স্বভাব, আচরন, মনোবৃত্তত্তি ও কর্মকান্ড প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের পরিপন্থী হলে।

ঠ)            পাগল ও উম্মাদ প্রমানিত হলে।

ড)           আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হলে।

ঢ)            মস্তিষ্ক বিকৃতি ও নৈতিক স্খলনের কারনে ফৌজদারী আদালত কর্তৃক দন্ডিত হলে।

ণ)            সদস্যের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লে।

ত)           তহবিল তছরুপ করলে এবং অবৈধ চাঁদাবাজি করলে।

ত)           গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ করলে এবং প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে স্বেচ্ছাচারী হলে।

দ)           সংগঠনের পক্ষ হয়ে সংগঠনের বিষয়ে কোন সদস্য পত্র-পত্রিকায়, সভা-সমিতি, সেমিনারে বিবৃতি প্রদানের পূর্বে কার্য্যনির্বাহী পরিষদের অনুমতি গ্রহন না করলে।

ধ)            সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী, অরাজনৈতিক ও অলাভজনক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করলে।

ন)           সংগঠনের নামে কোন সদস্য গঠনতন্ত্র বহির্ভূত ও অবৈধভাবে চাঁদাবাজি ও জনগণের কাছ থেকে ডোনেশন/ অনুদান গ্রহন করলে।

প)           সংগঠনের কার্য এলাকা (বাহরাইন) পরিত্যাগ করলে।

ফ)          সংগঠনের মূল্যবান রেকর্ডপত্র স্বেচ্ছাচারীভাবে কুক্ষিগত করে সংগঠনের কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে।

ভ)           প্রাসঙ্গিক বা অনিবার্য কারণে কোন সদস্যকে বহিষ্কার করার এখতিয়ার সংগঠনের কার্যনির্বাহী এবং উপদেষ্টা পরিষদ সংরক্ষণ করবেন।

পদ হতে ইস্তফা

ক)কার্যনির্বাহী পরিষদের কোন সদস্য অথবা যে কোন সাধারন সদস্যও ইস্তফা দিলে অবশ্যই তার কারণ উল্লেখ করে সভাপতি বরাবর পেশ করতে হবে।

খ) সভাপতি কার্যনির্বাহী পরিষদের সর্বসম্মতি ক্রমে সদস্যের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ কিংবা বাতিল করতে পারবেন। অবশ্য উপদেষ্টা পরিষদের ক্ষেত্রে এরকম ঘটনা ঘটলে উপদেষ্টা পরিষদ নিজেই তার সমাধান করবে।